Model Activity Task for Class 7 , Geography , Part 1
উত্তরঃ
১. পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য দিন রাত্রির তারতম্যের জন্য উত্তাপেরও তারতম্য হয়। পৃথিবীর কক্ষতলের সঙ্গে ৬৬ ১/২ ডিগ্রী হেলে থাকে তাই সূর্য রশ্মি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে লম্ব বা তির্যক ভাবে পড়ে। তাই উত্তাপেরও হ্রাস বৃদ্ধি হয়। প্রধানত এই সকল কারণের জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়।
চিত্রঃ তোমাদের টেক্সট বইয়ের ১০ no পৃষ্ঠার ছবিটা এঁকে নিতে হবে।
যখন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড় রাত ছোট হতে থাকে। তাই অনেক বেশিক্ষন সূর্যের উত্তাপ পায় কিন্ত রাত ছোট হওয়ার জন্য সেই তাপ পুরোটা পৃথিবী পৃষ্ঠ ত্যাগ করতে পারে না। তাই ধীরে ধীরে তাপ বাড়তে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল দেখা দেয় ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল দেখা দায়ে। একইরকম ভাবে যখন দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে যায় তখন সেখানে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল হয়।
২. তোমাদের টেক্সট বইয়ের ২২ no পৃষ্ঠার "অক্ষাংশ" অংশের ছবিটা এবং পুরো লেখাটা লিখতে হবে।
৩. বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের পার্থক্য নিম্নরূপ --
i ) যেসব অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা কম সেখানে উচ্চচাপ দেখা যায়।
যেসব অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা বেশি সেখানে নিম্নচাপ দেখা যায়।
ii ) উচ্চচাপে বায়ু শীতল ও সংকুচিত হয়।
নিম্নচাপে বায়ু উষ্ণ , প্রসারিত ও হালকা হয়।
iii ) উচ্চচাপে বায়ু শীতল ও ভারী হওয়ায় নিচের দিকে নেমে আসে। তাই ভূপৃষ্ঠের কাছে বায়ু বেশি ঘন হয় এবং চাপ বেশি হয়।
নিম্নচাপে বায়ু হালকা হয়ে উপর দিকে উঠে যায় , তাই ভূপৃষ্ঠের কাছে বায়ু চাপ কম হয়।
iv ) শীতল ও ভারী বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকে তাই আবহাওয়া পরিষ্কার ও শান্ত থাকে।
উষ্ণ বায়ু উপরের স্তরে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে জলীয় বাস্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ , বৃষ্টি পূর্ণ অশান্ত আবহাওয়া দেখা দেয়।
৪. এশিয়ার উষ্ণমরু অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য :
i ) গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা ৩০-৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে।
ii ) শীতকালে উষ্ণতা ১৫-২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে।
iii ) এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমান মাত্র ১০-১৫ সেমি।
ভুমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য :
i ) গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা ২১-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে।
ii ) শীতকালে উষ্ণতা ৫-১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে।
iii ) পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমান ৩০-৩৫ সেমি।
Post a Comment